জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০১৫

কাকতালীয় সত্য

২২ এপ্রিল, বিকাল ৪টা বেজে কিছু মিনিট হয়েছে। আমি আর তাওহীদ পরীক্ষা শেষ করে বাসায় যাচ্ছিলাম। কলেজ এ ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার শেষ পরীক্ষা ছিল। উচ্চতর গণিত। ভালো দিয়েছি মানে পাশ করবো। তাই মন টাও ভালো ছিল। সেই পিলখানা থেকেই আমরা কথা বলতে বলতে হাঁটছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় পলাশীর বাজার পার হয়ে কিছু কথাঃ
আমাকে বলল, " আজকে নিচে নামবি? "
প্রতিদিন এর মতই আজও আমার উত্তর ছিল,"নামতে পারি"
-"নামতে পারি মানে? বাসায় গিয়া কী কোনো কাজ আছ? আজকে না পরীক্ষা শেষ। নামবি।"
- "আচ্ছা"
এরপর কিছুক্ষন হেঁটে,জানিনা কি মনে হয়েছিল, বললাম," অনেক দিন ধরে ভূমিকম্প হয় না। লাস্ট যেবার হয়েছিল, আমরা সবায় নিচে নেমে গিয়েছিলাম। কি মজা হইছিল!"
-"হ, যখন মাথার উপর ছাদ ভাইঙ্গা পরবো বুঝবি। ভূমিকম্পের মজা।" আমাকে অনেকটা রাগের সাথেই উত্তর দিল। তবে মজা করেই।
আমাদের এরপর প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষা। আমার ২৬ তারিখ শুরু আর তাওহীদের ২৫ তারিখ। তাই আমাদের আবার দেখা হচ্ছে ২৬ তারিখ।

২৫ এপ্রিল । দুপুর ১২ টা বেজে ৫-৬ মিনিট। আমি খাটে শুয়ে মোবাইলে ফেসবুক এ দেখতে ছিলাম কলেজ এর গ্রুপ এ।
১২ঃ১০ মিনিট এ হঠাৎ মনে হল আমার আমার মাথা ঘুরছে আর তাই আমার মনে হচ্ছে যে আমার খাট কাঁপছে। আমি একটু উঠে আবার ভালো করে শুলাম। এবার আবার মনে হচ্ছে যে খাটের নিচে কেউ তো লাফাচ্ছে। নয়ত খাট কাঁপছে কেনো! কিন্তু আমি তো বাসায় একা। রিফাত(আমার ছোট ভাই) ও স্কুলে। তাহলে কে খাটের নিচে যাবে!এবার উঠে বসলাম আর আরও শক্ত হলাম।কিন্তু কাঁপুনীর কোনো পরিবর্তন হলো না। পড়ার টেবিল এর চেয়ার এ গিয়ে বসলাম । এবার স্পষ্ট দেখতে পারলাম খাট টা কিভাবে দুলছে! সাথে আমার চেয়ার ও!
ভূমিকম্প!!
আমার ধারণা ঠিক তো?
তখন ১২ঃ১৩ বাজে ঘড়িতে। 
গেট খুললাম। কোনো মানুষ বের হয়নি। এমনকি কেউ দরজাটাও খুলে নি।
 এবার নিজেকে বোকা মনে করতে যেয়েও আর করা হলো না। গেট খুলল আমাদের বরাবর সালেহ ভাইয়া। ওনার মা ও বের হয়ে আসলো। আমাকে বলল ,"ভূমিকম্প হচ্ছে না?"
-"জ্বি আন্টি।
উনি নিচে নেমে গেলেন। সালেহ ভাইয়াও। আমিও দরজা না চাপিয়েই নিচে নামলাম। শুধু কি আমরাই নামলাম? প্রশ্ন টা মাথায় আসার সাথে সাথে উত্তর সামনে চলে এলো।
সামনে যত বিল্ডিং ছিল ,সব গুলো থেকে ঝাকে ঝাকে মানুষ নেমে আসছে । যে বাসায় যে পোশাকে ছিল,সেই পোশাকেই। তখনো পায়ের নিচে মাটি কাঁপছে। ১২ঃ১৪ থেকে ১২ঃ১৫ উঠল ঘড়িতে।

এবার শান্ত।
তখনো কেউ বাসায় যায় নেই। সাহস করে আমি উপরে উঠলাম। আবার নিচে নামি । তখন  ও কেউ যায় নি। কিছুক্ষণ পর একে একে বাসায় যাওয়া শুরু করলে আমিও আসি বাসায়।

২৬ এপ্রিল।
তাওহীদের সাথে দেখা হলো । পরীক্ষা দিতে যাবো কলেজ এ। আমি বললাম," কিরে ভূমিকম্প কেমন টের পাইলি?"
-"শালা, আবার ভূমিকম্পের কথা কস? কি সুন্দর আগের দিন ভূমিকম্পের কথা কইলি আর হইল। এবার কি মারতে চাছ?
- না, আমার কিন্তু তেমন ভয় লাগে নাই। তবে নেপাল এর জন্য সত্যি খুব দঃখ হচ্ছে।
-  তুই চুপ করবি?? আর কথাই কবি না শালা।
মনে মনে তখন হাসলাম।
কিন্তু ২৭ তারিখ ওই ভয় টাই আবার কাজ করল। ভুমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের দিক এগিয়ে আসছে, সাথে উচ্চতাও কমছে। আর যদি কম উচ্চতায় এই মাত্রায় ভূমিকম্প বাংলাদেশে হয় তো নেপাল থেকেও বেশি মানুষ মারা যাবে আমাদের দেশে।
তাই,মনে প্রাণে আশা করি যেন আল্লাহ আর কোনো ভূমিকম্প কোনো দেশে না দেয়।

BY: Fahim Faysal Sowrav

** দৃষ্টিকোণ **

হিংসা

""" হিংসা """"
হিংসা জিনিস টা সব মানুষের মধ্যেই থাকে ..তবে মানুষ ভেদে কম বেশী হয়ে থাকে ..তবে হিংসা টা মানুষের একটি সুপ্ত গুণ ...তাই সহজে বুঝা যায়না কার মধ্যে হিংসার পরিমানটা কতটুকু ...তবে কিছু মানুষের মদ্যে এই হিংসাটা খুব বেশী পরিমানে থাকে ..তারা নিজকে ছাড়া অন্য কাউকে দেখতেই পারে না ..মোট কথা অন্যের সুখ দেখলে অদের এক ধরনের বিশেষ রোগ হয় ...এসব মানুষ কে আমার খুব সহজেই চিনে ফেলতে পারি ভালো মতো চোখ কান খোলা রাখলে ..তবে এমন অনেক আছে যাদের তুমি প্রকিত. অর্থে চিনতে পারোনা যারা ভিতরে ভিতরে তোমার সব কাজে হিংসার চোখ দিয়ে দেখে এবং সুযোগ খুজতে থাকে তোমার খতি করার ..

by:  গন্তব্যহীন লেখক